Pages

দেখুন

আমার নাম মুহাম্মাদুল্লাহ। থাকি উত্তর লাকসাম, কুমিল্লা, বাংলাদেশ। নাম্বার +8801737922429। সারা দুনিয়ার মানুষকে জান্নাতি বানান। কম দামে সাইট দিয়ে আয় করুন। ১০০, ৩০০, ৫০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা লাগবে। তাড়াতাড়ি ফোন দিন +8801737922429 হাজার, লাখ টাকা উপার্জন করুন কম খরচে সাইট বানিয়ে। এই সিষ্টেম গোপন কিন্তু হালাল

Thursday, November 1, 2018

সাদ সাহেবের অনুসরণ করা নাজায়েজ : মুফতি আব্দুল মালেক

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় গবেষক আলেমে দ্বীন, আরব-আজমের সুপরিচিত হাদীসশাস্ত্র গবেষক, মুফতি আবদুল মালেক সাহেব সম্প্রতি আরব ভাইদের উদ্দেশে একটি সংক্ষিপ্ত ওয়াদাহাতি বয়ান দিয়েছেন। সে বয়ানে তিনি বলেছেন, মাওলানা সাদ সাহেব তার বয়ান ও আলোচনার মাঝে এমন নিত্যনতুন উদ্ভট বিষয় নিয়ে আসছেন যা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআর
মানহাজ, জমহুর উলামা, মুফাসসিরিন, ফুকাহা ও মুহাদ্দিসিনের মানহাজের পরিপন্থী। যার পরিপ্রেক্ষিতে শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা তার অনুসরণ-আনুগত্য জায়েজ মনে করি না। তার বিকৃতি ও বিভ্রান্তির তালিকা এতোটাই দীর্ঘ যে, এখন সেগুলো বলে শেষ করা যাবে না। পাঠকদের সুবিধার্থে হযরতের আরবি বয়ানের বাংলা অনুবাদ: “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আমি অধম বান্দা মুহাম্মদ আবদুল মালিক। শিক্ষাসচিব ও বিভাগীয় প্রধান. তাখাসসুস ফি উলূমিল হাদিস, মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া, ঢাকা। আমি একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার সন্তুষ্টি চেয়ে আপনাদের সমীপে কিছু কথা নিবেদন করব। কথাগুলো দাওয়াত ও তাবলীগ সম্পর্কে। পুরো পৃথিবীর হালত সম্পর্কে আপনারা অবহিত আছেন। আপনাদের সমীপে সংক্ষিপ্ত কথা হলো, নিযামুদ্দিন মারকাযে সম্প্রতি যেসব কাণ্ড ঘটেছে এবং শায়খ সাদ কান্ধলভি যেসব কথা বলছেন, সেগুলো সম্পর্কে ভারতীয় উপমহাদেশের উলামায়ে কেরাম সম্যক অবগত। জমহুর উলামায়ে কেরাম, দ্বীনের ফুকাহায়ে কেরাম ও গুণীজন- যারা উম্মতের কল্যাণকামী- তারা সবাই এ কথার ওপর একমত যে, মাওলানা সাদ সেই মানহাজ ও মাসলাক থেকে বের হয়ে গেছেন যেই মাসলাকের ওপর তাবলীগের মুরুব্বিগণ যথাঃ শায়খ ইলয়াস (রহ.) শায়খ ইউসুফ (রহ.) ও শায়খ ইনআমুল হাসান (রহ.) আজীবন চলেছেন। সাদ সাহেব তার বয়ান ও আলোচনার মাঝে প্রতিনিয়ত এমন নিত্যনতুন উদ্ভট বিষয় নিয়ে আসছেন, যা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআর মানহাজ, জমহুর উলামা, মুফাসসিরিন, ফুকাহা ও মুহাদ্দিসিনের মানহাজের পরিপন্থী। যার পরিপ্রেক্ষিতে শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা তার অনুসরণ-আনুগত্য জায়েয মনে করি না। তার বিকৃতি ও বিভ্রান্তির তালিকা এতোটাই দীর্ঘ যে, এখন সেগুলো বলে শেষ করা যাবে না। পরবর্তী সাক্ষাতে আমি তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। শায়খ ইবরাহিম, শায়খ আহমদ লাট ও শায়খ ইবরাহিমসহ প্রমুখ আকাবিরগণ তাদের চিঠিপত্রে সেই বিষয়গুলো সবিস্তারে আলোচনা করেছেন। আল্লাহ চাহেন তো সম্ভবত সেগুলোর অনুবাদ আপনাদের কাছে পৌঁছে যাবে। আমার সর্বশেষ কথা হলো, আমরা আমাদের সেসব আকাবির ও মুরুব্বিদের সঙ্গে থাকব, যারা পূর্বের তিন হযরতজির মানহাজের ওপর থাকবেন। এই মানহাজই হলো আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআর মানহাজ। এটাই সীরাতুর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মানহাজ। এটাই সাহাবায়ে কেরামের মানহাজ। আমরা এমন ব্যক্তির অনুসরণ করব না, যিনি জমহুর উম্মত থেকে বিচ্ছিন্ন। কেননা যারা বিচ্ছিন্ন হবে, তাদের ব্যাপারে সাংঘাতিক শাস্তির ঘোষণা রয়েছে। এটাই আমার সর্বশেষ কথা। আশা করি, আপনারা আমাদের জন্যে দুআ করবেন। ইনশাআল্লাহ, আমরাও আপনাদের জন্যে দুআ করব। আমার সর্বশেষ আহবান হলো, সকল প্রশংসা সকল জাহানের রব আল্লাহর জন্যে। দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক নবীকুলসর্দার মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবার ও তাঁর সকল সঙ্গীদের ওপর। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।”v

No comments:

Post a Comment